বিচিত্র বীরভূম ( ২ রাত ৩ দিন ) ( জনপ্রতি ৫৭০০/-)
প্রথম দিন
কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে সোজা কীর্ণাহার। মাঝে শক্তিগড়ে প্রাতঃরাশ। কীর্ণাহারে মিরিটী গ্রামে রাস্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখা। সেখান থেকে সটান লাভপুরে। মাঝে কীর্ণাহারের বিখ্যাত মন্ডা এবং বরফি চেখে দেখা।
লাভপুরে এসে তারাশঙ্করের নানা স্মৃতি বিজড়িত সংগ্রহশালা দেখে চলে যাওয়া হবে অন্যতম সতীপীঠ ফুল্লরা দেখতে। মন্দির চত্বরটি বড় মনোরম। এরপর মধ্যাহ্ন ভোজন।
ভোজন সেরে আমাদের গন্তব্য হাঁসুলী বাঁক। বিখ্যাত উপন্যাস হাঁসুলী বাঁকের উপকথা-র সেই হাঁসুলী বাঁক আসলে কোপাই এবং বক্রেশ্বর নদীর সঙ্গম স্থলে নদীর অসংখ্য বাঁকের সমাহার। নির্জন, সবুজে মোড়া সেই জায়গার সৌন্দর্যও অসাধারণ। রয়েছে উপন্যাসে বর্ণিত কাহারদের সেই গ্রাম, পুরনো মন্দির।
লাভপুরে তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ধাত্রীদেবতা চত্বরে রাত্রিবাস। অথবা সোজা সিউড়ী, সেখানে রাত্রিবাস।
দ্বিতীয় দিন
সকাল সকাল সিউড়ী থেকে আমাদের গন্তব্য ভাণ্ডির বন। ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে সবুজে ঘেরা এই গ্রামে রয়েছে নানা প্রাচীন মন্দির। নিরিবিলিতে গ্রাম্য পরিবেশে বাবা ভান্ডেশ্বর, রঘুনাথ জিউর মন্দির চত্বর বড় মনোরম।
সেখান থেকে আমরা যাব রাণিশ্বর। ময়ুরাক্ষী নদী এখানে তার রূপের ডালি যেন উজাড় করে দিয়েছে। চঞ্চলা ময়ুরাক্ষীর জলে পা ভিজিয়ে দুষ্টুমিতে মেতে উঠতে পারেন এখানে, মনে পড়ে যাবে শৈশবের কথা।
এখান থেকে আমাদের গন্তব্য ম্যাসাঞ্জোর। সবুজ পাহাড় এবং সুবিশাল জলাশয় ম্যাসাঞ্জোরকে অতুলনীয় রূপ দিয়েছে। সঙ্গে বাড়তি পাওনা রয়েছে চঞ্চলা ময়ূরাক্ষী নদীর অসাধারণ সৌন্দর্য।
ম্যাসাঞ্জোর থেকে যাওয়া হবে চোরকাঁটা পাহাড়। আদিবাসী গ্রামের ধারে শান্ত সবুজ পরিবেশে দুটি ছোট্ট ছোট্ট পাহাড়। স্বাভাবিক নির্জনতা এই এলাকাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
বিকেল নাগাদ চোরকাঁটা পাহাড় থেকে চলে আসা হবে তিলপাড়া ব্যারেজে। বিকেলে তিলপাড়া জলাধারের নির্জনতাকে সঙ্গী করে সন্ধের অনাস্বাদিত ভালো লাগাকে চেটে পুটে উপভোগ।
রাত্রিবাস সিউড়ীতেই।
তৃতীয় দিন
সকাল বেলা রওনা দিয়ে নীল নির্জন। বক্রেশ্বর নদীর উপরে নির্জন সুন্দর জলাধারটির সার্থক নাম নীল নির্জন।
সেখান থেকে আমাদের গন্তব্য দুবরাজপুরের মামা ভাগ্নে পাহাড়। মামা ভাগ্নে পাহাড়ের অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখার পর পাহাড়েশ্বর মন্দির দেখে যাওয়া হবে হেতমপুরের রাজবাড়ি।
রাজবাড়ি চত্বর ঘুরে দেখার পর আমাদের গন্তব্য জয়দেব কেন্দুলি। গীতগোবিন্দের রচয়িতা কবি জয়দেবের স্মৃতি বিজড়িত জয়দেব কেন্দুলি দেখে রওনা কলকাতার দিকে।
সন্ধের জলখাবার শক্তিগড়ে।