কাসাফল সৈকত, ওড়িশা

উৎকল বঙ্গ (২ রাত ৩ দিন) ( জনপ্রতি ৫৭০০/-)

প্রথম দিন

কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে সটান কেশিয়াড়ি কুড়ুমবেড়া দুর্গ, মাঝে কোলাঘাটে প্রাতরাশ। কুড়ুমবেড়া দেখে নয়াগ্রামে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে তপোবন আশ্রম, কালুয়া ষাঁড় দর্শন। এর মাঝেই পড়বে বৃহত্তম জঙ্গলকন্যা সেতু। বিকেলে পৌঁছনো রামেশ্বর শিব মন্দিরে। রাত্রিবাস সুবর্ণরেখার ধারে উঁচু টিলার পরে রামেশ্বর অতিথি নিবাসে। 

দ্বিতীয় দিন

 রামেশ্বর থেকে এবার ওড়িশার উদ্দেশে রওনা। এদিনের প্রথম দ্রষ্টব্য রায়বনিয়া দুর্গ। সেখান থেকে যাব হাতিপুরে লক্ষণনাথ প্যালেস। এই মহাশয় প্যালেস দেখে আমাদের গন্তব্য হবে ডগর সৈকত। মাঝে জলেশ্বরে প্রাতরাশ। নির্জন ডগর বা ডগরা সৈকতে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে এবার মধ্যাহ্ন ভোজনের পালা। আহার সেরে সোজা ডুবডুবি মোহনা। যেখানে ডুবডুবি নদী মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। সেখান থেকেই কিছুটা দূরে অসাধারণ এক সৈকত, নাম কাসাফল সমুদ্র সৈকত। বঙ্গোপসাগরের কোলে নির্জন সুন্দর সেই সৈকতের মজা চেটেপুটে উপভোগ করে সারাদিন সাগর পাড়ে কাটিয়ে ফিরে আসব জলেশ্বরে, রাত্রিবাস সেখানেই।   

তৃতীয় দিন

প্রাতরাশ সেরে আমাদের প্রথম গন্তব্য বিচিত্রপুর ম্যানগ্রোভ স্যাংচুয়ারি।  সুন্দরবনের আবহে খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে নৌকা করে সুবর্ণ দ্বীপ। অসাধারণ সুন্দর ছবির মত এলাকা হল সুবর্ণ দ্বীপ।  মধ্যাহ্নভোজন সেরে বিচিত্রপুর থেকে আমাদের গন্তব্য সুবর্ণরেখা এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনা চন্দ্রবালি। সেখান থেকে  রওনা দেব কলকাতার উদ্দেশে। মাঝে কোলাঘাটে সন্ধের চা এবং জলখাবার।   

বিঃদ্র – বিচিত্রপুরে নৌকা ভ্রমণের খরচ আলাদা।