চাইবাসা চক্রধরপুর ( ৩ রাত ৪ দিন)

প্রথম দিন – ভোর বেলা কলকাতা ( হাওড়া)  থেকে রওনা দিয়ে  ট্রেনে চক্রধরপুর। হোটেলে পৌঁছে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে সামান্য বিশ্রাম। তারপরে বেরিয়ে পড়া পানসুয়া ড্যামের উদ্দেশে। পাহাড় বেষ্টিত এই সবুজে ঘেরা জলাশয়ের মনোরম শোভা মুগ্ধ করে অতিবেরসকদেরও। সেখান থেকে যাব পাম্পু ড্যাম। নির্জন পরিবেশে পাহাড়ের কোলে সঞ্জয় নদীর শোভা দেখে ফিরে আসা হবে হোটেলে। রাত্রিবাস চক্রধরপুরে।  

দ্বিতীয় দিন – প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়া জঙ্গলের দিকে। প্রথম গন্তব্য হবে হিরনি ফলস। পথিমধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা দেখে নেবো টেবো ভ্যালির সবুজ তরঙ্গায়িত রূপ। এর পরে সুউচ্চ পাহাড় বেষ্টিত হিরিনি ফলস দেখে আমরা যাব পঞ্চঘাঘ ফলস দেখতে। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা অতি সুন্দর পরিবেশে এই ঝরণা দেখে আমাদের মধ্যাহ্ন ভোজন। এর পরে আমাদের গন্তব্য হবে নাকটি ড্যাম। নিরিবিলি এই জলাশয়ের ল্যান্ডস্কেপে সূর্যাস্তের মায়াবী আলোছায়া দেখে ফিরে আসা চক্রধরপুরে হোটেলে। রাত্রিবাস সেখানেই।

তৃতীয় দিন – এদিনের গন্তব্য একটু দূরে, তাই সকাল সকাল রওনা দেব চাইবাসার দিকে।  প্রথম গন্তব্য দামাদিরি ফলস এবং সুরজবাসা মন্দির। এর পরে আমাদের গন্তব্য হবে ঘন জঙ্গলের মধ্যে থাকা হাকুইয়াম ফলস্‌। এবার যাব প্রাচীন প্রত্নস্থল বেনী সাগর। পথিমধ্যে মাঝগাঁওতে একটি ছোট্ট হোটেলে মধ্যাহ্ন ভোজন। ফেরার পথে বিকেলের নরম আলোয় ভাগাবিলা ঘাঁটির সৌন্দর্য চেটেপুটে উপভোগ করে আমরা আসব চাইবাসায়। রাত্রিবাস সেখানেই। 

চতুর্থ দিন  –  এদিন আমাদের কলকাতায় ফেরার পালা, তাই প্রাতরাশ সেরে আমরা একবারে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ব চাইবাসার স্থানীয় কিছু সুন্দরের খোঁজে। প্রথমেই যাব রুঙতা গার্ডেন। এরপরে যাব কুজু। খড়কাই নদীর পাথুরে রূপ এবং বাঁধের সৌন্দর্য উপভোগ করে চলুন লুপুংগুটুর দিকে। নামের মতই সুন্দর জায়গাটি। চারিদিক থেকে বের হওয়া প্রাকৃতিক প্রস্রবণ নির্জন এই জায়গার মূল আকর্ষণ। পাশাপাশি এই সৌন্দর্যে আরও জৌলুস বাড়িয়েছে পাশে থাকা রোরো নদীর উদ্দাম, অনাবিল উপস্থিতি। লুপুংগুটু থেকে আমাদের গন্তব্য  জুবিলি পার্ক। চাইবাসা শহরের মাঝে বিশাল এক জলাশয়কে ঘিরে এই পার্ক দেখতে মন্দ লাগে না। এবারে আমাদের মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে ঘরে ফেরার পালা। বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ট্রেন ধরে নটা নাগাদ হাওড়ার পৌছানোর কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *