প্রথম দিন  – কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে সোজা  জলেশ্বর, সেখানে শিবমন্দির এবং সংলগ্ন এলাকা দেখে চলে যাওয়া হবে চৌবেড়িয়া। চৌবেড়িয়ায় দীনবন্ধু মিত্রের বাড়ি দেখে সটান গোপালনগর। গোপাল নগরে দুটি দ্রষ্টব্য, বিখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতি ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি এবং কিছুটা দূরেই বিভূতি ভূষণ ঘাট এবং ঝুলন্ত সেতু। সবুজ পরিবেশে সেই সেতু দেখে যাওয়া হবে বনগাঁয়। মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে আমাদের গন্তব্য হবে ছয়ঘরিয়া। সেখানে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখে আমরা যাব পেট্রাপোল সীমান্তে। সেখানে আগে দেখব জিরো পয়েন্টে মনসা মন্দির, যেখান থেকে বাংলাদেশকে দেখা যায় মাত্র ৫০ ফুটের নাগালে। তারপর দেখা হবে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যৌথ কুচকাওয়াজ। সন্ধে বেলা ফিরে আসা হোটেলে, রাত্রিবাস বনগাঁয়।

দ্বিতীয় দিন – সকাল সকাল আমরা যাব ঝাউডাঙ্গা সীমান্তে। সেখানে কাঁটা তারের বেড়ার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তা দেখা হবে। ওপারে বাংলাদেশ এপারে ভারতের এমন শোভা অন্য কোথাও মেলা ভার। এরপর আমাদের  গন্তব্য হবে ঠাকুর নগর। মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়ি এবং গির্জা দেখে চলে যাওয়া হবে গোবরডাঙ্গা। সেখানে দ্রষ্টব্য চণ্ডীতলা, কঙ্কনা বাওড়, সূর্যঘড়ি, প্রন্নময়ী কালী মন্দির, জমিদার বাড়ি ইত্যাদি দেখে মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে যাওয়া হবে ইছাপুর, এখানে রয়েছে ৫০০ বছরেরও প্রাচীন টেরাকোটার কাজে ভরা গোবিন্দ মন্দির। সেই মন্দির দেখে  ফেরার পালা। ফিরতি পথে দেখে নেওয়া হবে  শুটিং স্পট। তারপরে সটান কলকাতায়।