ব্যতিক্রমী বর্ধমান (১ রাত ২ দিন) (জনপ্রতি ৩৭০০/-)

(প্রথম দিন) – কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে সোজা চম্পক নগর।  শোনা যায় মনসা মঙ্গল খ্যাত চাঁদ সওদাগরের বাড়ি ছিল এখানেই। এখনও এই এলাকায় চাঁদ সওদাগর স্থাপিত শিব মন্দির, বেহুলা লখীন্দরের বাসরঘর, গাঙ্গুর নদ রয়েছে। ছোট্ট টিলায় মন্দিরকে ঘিরে সবুজ সুন্দর পরিবেশ। সেখান থেকে যাওয়া হবে রণডিহা জলাধার। শান্ত, সুন্দর সবুজে মোড়া এই এলাকা আপনাকে কাছে টানবেই।  রণডিহা থেকে আমাদের গন্তব্য দুর্গাপুর ব্যারেজ। সুবিশাল জলরাশি এবং দামোদরের উপরে দেওয়া বাঁধের শোভা দেখে আমরা যাব কুমার মঙ্গল পার্ক। রাত্রিবাস দুর্গাপুরে। 

( দ্বিতীয় দিন ) –  পরদিন সকালে প্রথম গন্তব্য হবে আড়া শিব মন্দির। সেখান থেকে  চলে যাওয়া হবে গড় জঙ্গলে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে প্রাচীন শ্যামরূপা মায়ের মন্দির। সবুজে ঘেরা লাল মাটির পথ এবং গা ছমছমে পরিবেশে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা এই মন্দির চত্বর দর্শনের। পাশেই মেধসাশ্রম (কথিত আছে রাজা সুরথ এখানেই প্রথম দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন)।  সেখান থেকে গন্তব্য অজয়ের ধারে ইছাই ঘোষের দেউল এবং সংলগ্ন দেউল পার্ক। দেউলের পরের গন্তব্য  বনকাটি, সাতকাহনিয়া (অজয় নদের ধারে ছবির মত সুন্দর গ্রাম, বহু বাংলা ছবির শুটিং হয়েছে এই গ্রামে)। সাতকাহনিয়ায় রয়েছে নাটকের গ্রাম তেপান্তর, যেখানে নাটক নিয়ে নানা কর্মকাণ্ড চলছে দিনভর।  তেপান্তর দেখে এবার ফেরার পালা। ফিরতি পথে হুগলির দেউলে গ্রামের সাত দেউল দেখে নেওয়া হবে কিছুক্ষণের জন্য। দুদিনের অপূর্ব অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে সন্ধেয় ফের কলকাতায় ফেরার পালা।

 যোগাযোগ – 9830185464, 9434147524

খরচ – জনসংখ্যা এবং গাড়ির রকমফেরের উপরে নির্ভরশীল।  

বিদ্রঃ

  • দুর্যোগ বা দুর্ঘটনার কারনে সফর সূচির পরিবর্তন হতে পারে।
  • সফরের জনসংখ্যা বাড়লে বা কমলে মূল্যের তারতম্য হতে পারে।