অচেনা বাঁকুড়া (২ রাত ৩ দিন) (জনপ্রতি ৫৭০০/-)

প্রথম দিন

কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে সটান বরদি পাহাড়। পথিমধ্যে প্রাতরাশ। সারেঙ্গা ব্লকে কংসাবতী নদীর তীরে বরদি পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনবদ্য। সেখানেই আমাদের রাত্রিবাস। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর বিশ্রাম, এর পর বরদি এলাকা ভ্রমণ। বিকেলে বরদি পাহাড়ের ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যাস্ত দেখা। সন্ধেয় জমাটি আড্ডা চা মুড়ি পকোড়া সহযোগে।  

দ্বিতীয় দিন

প্রাতরাশ সেরে আমরা যাব ছেঁদাপাথর। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু একসময় এই ছেঁদাপাথর অঞ্চলেই লুকিয়ে ছিলেন এক গুহার ভিতর। সেখানেই তাদের চলত বোমা বাঁধার অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণ। সেই গুহার অবশিষ্টাংশ আজও স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে রয়ে গিয়েছে। গুহা দেখে যাব ভাগাবাঁধের ধারে। চারিদিকে সবুজ পাহাড় এবং জঙ্গলের মাঝে অপরূপ সুন্দর পরিবেশে ভাগা বাঁধের অবস্থান। সেখানে খানিক দাঁড়িয়ে আমাদের গন্তব্য হবে ওড়গোঁদা। আদিবাসীদের অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং জাগ্রত দেবস্থান এই ওড়গোঁদা। প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে এখনও। সেখান থেকে আমরা আসব সবুজ দ্বীপ। কংসাবতীর বুকে সৃষ্ট সবুজ দ্বীপ তার অসামান্য রূপের ডালি সাজিয়ে অপেক্ষায় আছে শুধু আপনার। এখন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি দ্বীপটিকে সুগম এবং সুশ্রী করেছে। সেখান থেকে আমরা সন্ধেয় ফিরে আসব ফের বরদি পাহাড়ে, রাত্রিবাস সেখানেই।

তৃতীয় দিন

প্রাতরাশ সেরে আমাদের গন্তব্য ঘাঘর। শীলাবতী নদী চলতে চলতে ঘাঘরের কাছে এসে এক অতুলনীয় রূপ নিয়েছে। নির্জন সুন্দর নদী পাথরের খেলা জড়ানো ঘাঘর দেখে রওনা দেব পাঁচমুড়ার উদ্দেশে। পোড়া মাটির ঘোড়া বা অন্যান্য কাজের জন্য বিখ্যাত পাঁচমুড়া গ্রাম দেখে আমরা যাব গোকুলনগর। সেখানে রয়েছে গোকুলচাঁদ মন্দির। বাঁকুড়ার সব চাইতে বড় মাকড়া পাথরের মন্দির এটি। পাথরের উপরে কাজ এবং স্থাপত্যের মিশেল এই গোকুলচাঁদ মন্দির তার স্বকীয়তার জন্যই অন্যদের থেকে আলাদা। গোকুল নগর থেকে আমাদের গন্তব্য হবে কলকাতা। পথিমধ্যে সন্ধের চা। সঙ্গে থাকবে অচেনা অথচ অসাধারণ এই জায়গাগুলির সুখস্মৃতি।